ভারতের অরুণাচল প্রদেশ এবং দক্ষিণ চীন সাগরকে বেইজিং তার অংশ হিসেবে দেখিয়ে নতুন
একটি মানচিত্র প্রকাশ করে আঞ্চলিক বিতর্ক নতুন করে উস্কে দিল চীন। অরুণাচল
নিয়ে ভারতের সঙ্গে এবং চীন সাগর নিয়ে প্রতিবেশী কয়েকটি দেশের সঙ্গে বিরোধ
রয়েছে চীনের।
আগের মানচিত্রগুলোয় চীন বিতর্কিত ওইসব অঞ্চলকে আলাদা চিহ্ন দিয়ে চিত্রিত করত। ভারত এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। অরুণাচল প্রদেশ সরকারও এর
নিন্দা জানায়।
চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পিপলস ডেইলি বলেছে, 'চীনের নাগরিকরা এখন
দেশের পূর্ণ মানচিত্র সম্পর্কে সম্পূর্ণ ও সরাসরিভাবে জানতে পারবে।'
ভারতের উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারির চীন সফরের মধ্যেই এ মানচিত্র প্রকাশ
করল বেইজিং। দু'দেশের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের লক্ষ্যে প্রণীত পঞ্চশীলের
(পাঁচ নীতি) ৬০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আনসারি বেইজিংয়ে রয়েছেন।
নতুন মানচিত্রে অরুণাচলের পাশাপাশি জম্মু ও কাশ্মীরের বড় একটি অংশও
নিজেদের সীমানার মধ্যে দেখিয়েছে চীন। এ ছাড়া গোটা অরুণাচলকে 'দক্ষিণ
তিব্বত' হিসেবে দেখানো হয়েছে।
সীমান্ত নিয়ে কয়েক দশকের বিরোধ রয়েছে ভারত ও চীনের। এ নিয়ে দেশ দুটি
১৯৬২ সালে একটি যুদ্ধেও জড়ায়। জাপান, ফিলিপাইন ও ভিয়েতনামের সঙ্গে
সমুদ্রসীমা নিয়ে এবং স্থল সীমান্ত নিয়ে ভারতের সঙ্গে চীনের দীর্ঘদিনের
বিরোধ রয়েছে।
সীমান্ত প্রতিরক্ষা জোরদারের নির্দেশ :চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং
দেশের স্থল ও সমুদ্র সীমা প্রতিরক্ষা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছেন। আঞ্চলিক
ভূখণ্ড নিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বিরোধের প্রেক্ষাপটে তিনি এ নির্দেশ
দেন।
চীনের সরকারি সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার খবরে গতকাল শনিবার বলা হয়, শুক্রবার
'জাতীয় বৈঠকে' বক্তৃতাকালে চীনের সীমান্ত প্রতিরক্ষা সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট
বলেন, অতীতে আমাদের দেশের দুর্বলতার কারণে অন্যরা সীমান্ত লঙ্ঘনের সুযোগ
পেয়েছিল।
Blogger Comment
Facebook Comment